ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ঢাকা মেডিকেলের ছাত্র রাজ কুমার শীল এখন কারখানার শ্রমিক। মেডিকেলের প্রফেশনাল পরীক্ষার ফার্মাকোলজিতে অকৃতকার্য হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও ভালো রেজাল্ট করতে না পারায় মানসিক ভাবে অসুস্থতায় হয়ে পড়েন তিনি।
বর্তমানে রাজ কুমার শীল ৩০-৫০ টাকা দিন হিসেবে একটি ভুসির কারখানায় দিনমজুরের কাজ করছেন। তিনি বিরামপুর পৌর শহরের ঘাটপাড় গ্রামের নগিন শীলের ছেলে। রাজ কুমার ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪০তম ব্যাচের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য সার্টিফিকেট সত্যায়িত করতে ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালীর কাছে যান রাজ কুমার। ডা. বেলায়েত হোসেন রাজ কুমার শীলের মেডিকেলে পড়ার কথা জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। এরপর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি তুলে ধরলে মেধাবী রাজ কুমার শীলের জীবনের গল্প উঠে আসে।
রাজ কুমারের মা পার্বতী শীল বলেন, ছোটবেলা থেকেই রাজ কুমার শীল খুবই মেধাবী। প্রাথমিক ও জুনিয়ার পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়েছিল সে। প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়। প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলেও দ্বিতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় রাজ কুমার। এরপর দ্বিতীয় বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও ভালো রেজাল্ট করতে না পেরে মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়ায় পড়ে যায়।
রাজ কুমারের বাবা নগিনা শীল পেশায় নাপিত। রাজ কুমারের আরেক ভাই ঢাকা তিতুমির কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন, তারও একই রোগ হয়। স্নাতক সম্পন্ন করতে পারেনি সে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/জে আই