শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশনী বাড়লেও বাড়ছে না বইয়ের গুণগত মান

বইমেলাতে একের পর এক প্রকাশনীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না বই এর গুণগত মান। বই তৈরির কাগজ, বাঁধাই এবং ছাপার কালির মানে সন্তুষ্ট হচ্ছেন না পাঠকেরা। বেশিরভাগ প্রকাশনীই কম খরচে মানহীন উপকরণে এসব মানহীন বই তৈরির দিকে ঝুঁকছে।

বই এর দাম বাড়ানো হলেও, বইয়ের মানের দিকে নজর নেই মেলার অধিকাংশ প্রকাশনীরই। এমনকি প্রথম সারির কিছু প্রকাশনীর বইয়ের মানও এখন নিম্নমুখী। মেলা ঘুরে দেখা যায়, অনেক প্রকাশনী থেকে খুবই নিম্ন মানের কাগজ আর দুর্বল বাঁধাই দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে বই। লেখা ছাপানোর কালিও ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের। এছাড়া বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলে রুচহিীন আর মানহীন প্রচ্ছদের ছড়াছড়ি।

মেলায় বই কিনতে আসা ইসমাইল হোসেন বলেন, কিছু প্রকাশনী আমি দেখেছি যাদের বই এর মান খুব একটা স্ট্যার্ন্ডাড না। তবে লেখক ভালো হওয়ার কারণে সেগুলোর চাহিদা আছে।

আরেক ক্রেতা শিলা বলেন, আগে বই এর কাগজের মান ভালো ছিল, এখন সেটা কমে গেছে। বইয়ের দাম অনেক বাড়ছে কিন্তু সে হিসেবে কাগজ আর ছাপার মান বাড়েনি।

আগে মানসম্মত লেখা ছাড়া বই প্রকাশ করা হত না। বর্তমানে সেই প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে প্রকাশনীগুলো। গুরুত্ব পাচ্ছে না বইয়ের গুণগত মানও। এছাড়া সাহিত্যমান না থাকা সত্ত্বেও অনকের লেখাই প্রকাশ করছেন প্রকাশকরা।

লেখক সৈয়দ লুৎফুল হক বলেন, বইয়ের মান একদমই পড়ে গেছে। প্রকাশনীগুলো নামকরা লেখকদের বই করার ক্ষেত্রে মান ঠিক রেখেই করছে। কেবল নতুন লেখক অথবা অখ্যাত লেখকদের ক্ষেত্রে বই এর মানের দিকে গুরুত্বই দিচ্ছে না।

আরও পড়ুনঃ  বুঝেশুনে নিউজ করবেন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৃ প্রকাশনীর প্রকাশক কর্মকার অনুপ কুমার বলেন, সাহিত্যের মান অবশ্যই বই পড়ার ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। তবে বই পড়তে গিয়ে যদি দেখা যায় কাগজটা খুব নিম্নমানের, তারপর সেটার বাঁধাইও যদি নিম্নমানের হয় অথবা ছাপাটা ঝকঝকে না হয়, তখন সেই বইটা পাঠ করা পাঠকের জন্য খুব একটা আরামদায়ক হয় না। এজন্যই একজন প্রকাশককে বই তৈরির এসব দিকে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস  

সংবাদটি শেয়ার করুন