ঢাকা | শনিবার
১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিকারিদের কারণে কমে যাচ্ছে অতিথি পাখির সংখ্যা

হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে একটু উষ্ণতার জন্য বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে দলবেঁধে আসে অতিথি পাখি। এ হাওরে পর্যাপ্ত খাবার আর উপযুক্ত পরিবেশ থাকার কারণে প্রতিবছরই আসে অতিথিরা। তবে শিকারিদের ভয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে থাকতে হচ্ছে এসব পাখিগুলোর।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, শিকারিদের জন্যই প্রতিবছর অতিথি পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এছাড়া হাওরের অসংখ্য বিলের গভীরতা কমে যাওয়া, ঝোপঝাড় ধ্বংস হওয়া ও মৎজীবীদের মাছ শিকারের কারণে পাখির আশ্রয়স্থল ও খাবার কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাওরের বিভিন্ন বিল তেমন পাখির নেই, তবে ঘরকুঁড়ি ও ছকিয়া বিলে কিছু দেখা গেছে। সাধারণত বিলের যে প্রান্তে মানুষের আনাগোনা কম থাকে, সেখানেই নানা রঙের এসব অতিথি পাখি অবস্থান করছে। ভোরবেলা এবং বিকেলে সবচেয়ে বেশি পাখি দলবেঁধে ছোটাছুটি করছে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সাদিপুর গ্রামের মৎস্যজীবী তাজুল বলেন, আগের তুলনায় অতিথি পাখির সংথ্যা কমে যাচ্ছে। এক সময় আমরা পাখির কারণে মাছ ধরতে পারতাম না। তবে বর্তমানে সেই চিত্র বদলে গেছে। আর পাখি কমে যাওয়ায় জন্য পর্যটকের সংখ্যাও কমে গেছে।

বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অনু জানান, মূলত হাকালুকিতে শীতপ্রধান দেশের পাখিগুলো আসে। কৃষি জমির জন্য হাওরের সব ঝোপঝাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। যা পাখির জন্য খুবই ক্ষতিকর, এ কারণেই পাখি আসছে না। এছাড়াও হাকালুকির একটি অংশে বিষ দিয়ে পাখি শিকার করা থাকে। এরপর এই পাখিগুলো নিধন করে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করেন শিকারিরা।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন