পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব অমীমাংসিত ইস্যু, বিশেষত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনার শিকড় থেকে উদ্ভূত বিষয়গুলো আসন্ন বৈঠকে আলোচনার টেবিলে উঠবে।
সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, প্রতিটি বিষয় আলোচনার টেবিলে থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা ও আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বাস্তবসম্মত ও ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক নীতি অনুসরণ করছে। তার ভাষায়, “বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আমাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হয়। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত দিই না, একইভাবে তারা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত দেয় না।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী ২৩ আগস্ট ঢাকায় পৌঁছাবেন, এবং ২৪ আগস্ট তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন। সফরের উদ্দেশ্য দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন এবং অমীমাংসিত ইস্যুতে অগ্রগতি অর্জন।
এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা ও অমীমাংসিত আর্থিক দায় পরিশোধের বিষয়গুলো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেছিল।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৫ বছরের বিরতির পর পাকিস্তান আবারও আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। দারের এপ্রিলের নির্ধারিত ঢাকা সফর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রাণঘাতী হামলার পর ইসলামাবাদ-নয়াদিল্লি উত্তেজনার কারণে স্থগিত হয়েছিল।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আসন্ন সফর দুই দেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান ও গঠনমূলক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।




