অধিগ্রহণকৃত জমি যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে, তা ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। জমি ব্যবহার না হলে জেলা প্রশাসকের নিকট ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, দেশের জমি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে, তাই অব্যবহৃত ও বেদখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার এবং এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত ও বেদখল জমি ব্যবহার ও পুনরুদ্ধার’ বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভূমি উপদেষ্টা আরও বলেন, অব্যবহৃত জমি উদ্ধার রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং পরিকল্পিত নগরায়ণ জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করবে।
সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, জেলা প্রশাসক ও মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তর থেকে অব্যবহৃত জমির তথ্য সংগ্রহ করে তা ক্রস চেক করা জরুরি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি কিনতে হলে প্রকৃত মূল্যে কিনতে হবে, এজন্য প্রয়োজনে আইন সংশোধন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, অর্পিত ও শত্রু সম্পত্তির ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়োগে শর্তক হতে হবে, নতুবা এসব জমি বেদখল হয়ে যাবে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে কো-অপ্ট করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে ‘স্টক টেকিং’ কমিটি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হকের নেতৃত্বে ‘ব্যবহার সংক্রান্ত’ কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কৃষি সচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
