মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে অব্যাহতি পেতে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বিশেষ ‘প্যাকেজ প্রস্তাব’ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা প্যাকেজ নিয়ে গিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আর কী কী পণ্য কেনা যেতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক থেকে অব্যাহতি পেতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
সোমবার সন্ধ্যায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তার সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী। তারা মঙ্গলবার ও বুধবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে শুল্ক ছাড় নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন।
এর আগে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেয়, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে উদ্যোগ
বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম ও সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি, বেসরকারি পর্যায়ে তুলা আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত কোনো প্রস্তাব আছে কিনা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আরও কিছু আছে, তবে সেগুলো নিয়ে এখনই কিছু বলব না। বাণিজ্য উপদেষ্টা ফিরে এলে বিস্তারিত জানানো হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্যাকেজ প্রস্তাব’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে এবং অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব লাঘব করতে সহায়ক হতে পারে। তবে চলমান আলোচনার ফলাফলের ওপরই নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতিতে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের ভবিষ্যৎ।




