নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মালবাহী ভলগেটের ধাক্কায় একটি মাছধরা ট্রলার ডুবে সাকিব উদ্দিন ও আরাফাত হোসেন নামে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অচেতন অবস্থায় হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে রহমত নামে একজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) ভোরে সুখচর ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাকিব উদ্দিন চরকিং ইউনিয়নের শুশ্লকিয়া গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে, আরাফাত হোসেন সুখচর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। আহত রহমত নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের কাশেম মেস্ত্রীর ছেলে।
জানা যায়, ভোরে নদীতে মাছ ধরা শেষে তীরে নৌঙর করা অবস্থায় ছিল আফসার মাঝির ট্রলারটি। ট্রলারের ভিতরে আফসার মাঝিসহ ৫জন ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে হঠাৎ করে দক্ষিণ দিক থেকে আসা মালবাহী একটি ভলগেট ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নদীর মধ্যে ট্রলারটি উল্টে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা ৪জন নদীতে পড়ে যায়, যার মধ্যে আফসার মাঝিসহ দুইজন জীবিত উঠতে পারলেও তিনজন নদীতে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর রহমতকে অচেতন অবস্থায় ও সকালে সাকিবের ভাসমান অবস্থায় নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় নিখোঁজ হয় আরাফাত। পরে দুপুরের দিকে সুখচরের রামচরণ বাজার সংলগ্ন মেঘনায় আরাফাতের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। ঘটনার পরপর ভলগেটটি উত্তর দিকে চলে যায়, যার ফলে সেটিকে চিহিৃত করতে পারেনি জেলেরা।
নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিষ চন্দ্র সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে নৌ-পুলিশের একটি দল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে সাকিবের মরদেহ নিয়ে আসে, পরে দুপুরের দিকে সুখচর থেকে আরাফাতের মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মোট দুইজন নিহত হয়। আহত একজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবার কোনো প্রকার ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দুটি নিয়ে যেতে চাচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলে মরদেহ দুটি পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে।




