গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সেনা ও পুলিশের সাথে সংঘষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত রমযান মুন্সির বড় ভাই জামাল মুন্সি বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ২৫-তাং ২৬-০৭-২৫।
এ ঘটনায় এ নিয়ে ৫টি হত্যা মামলাসহ মোট ১১টি মামলা দায়ের হলো। এরআগে নিহত ৫জনের মধ্যে ৪জনের পক্ষে পুলিশ বাদি হয়ে ৪টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ১৬জুলাই গোপালগঞ্জ পৌরপাকে এনসিপি কতৃক আয়োজিত সমাবেশ প্রতিহত করতে দুপুরের দিকে শহরের চৌরঙ্গী, বিসিক শিল্প নগরী, বড় বাজারসহ নানা এলাকা থেকে একযোগে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ মিছিল এনসিপির সভাস্থল পৌরপারে দিকে রওয়ানা হয়। দুপুর সোয়া ২টার দিকে মিছিলগুলো শহরের চৌরঙ্গী- বড়বাজার ও বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় পৌছালে সেনা ও পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্খলে ৪জন ও দুদিন পর ঢাকা মেডিকেলে রমজান মুন্সি নামে আরো ১জনসহ
মোট ৫জন নিহত হয়-এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরো দুজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধী রয়েছে।
এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা যেমন, পুলিশের গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ- সংঘষ- হামলা-ভাংচুর ও ৫ জন নিহতের ঘটনা নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর ,কোটালীপাড়া- টুঙ্গিপাড়া ও কাশিয়ানী থানা পুলিশ বাদি হয়ে ৪টি হত্যা মামলাসহ মোট ১০টি মামলা দায়ের করেন।
এতে কমপক্ষে পনেরো হাজারেরও বেশি মানুষকে আসামী করা হয়। যার মধ্যে অধিকাংশ মানুষই হচ্ছে আওয়ামীলীগ- ছাত্রলীগ- যুবলীগ- নীরিহ সাধারন মানুষ -ভ্যান চালক- রিকসা চালকসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ।
সবশেষ আজ শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর এ ঘটনায় নিহত রমজান মুন্সির বড় ভাই জামাল মুন্সি বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ২৫-তাং ২৬-০৭-২৫।
এ মামলায় কাউকে এজাহার নামীয় আসামী করা হয়নি , সব অজ্ঞাত বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো,
সাজেদুর রহমান।




