ঢাকা | মঙ্গলবার
৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব, রোববার ফের আলোচনা

আদালতের রায়ের পর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরার রাস্তা তৈরি হয়েই আছে। রাজনৈতিক দলগুলোরও এ বিষয়ে দ্বিমত নেই, তবে সেই সরকার কেমন হবে- তা নিয়ে আছে মতপার্থক্য। রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

সংস্কার কমিশনগুলোর দেয়া সুপারিশের ভিত্তিতে গত মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ আলোচনার প্রথম ধাপে বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে মৌলিক বিষয়গুলোর আলোচনা চলছে। রোববার (২০ জুলাই) রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ফের আলোচনায় বসবেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নেতারা। সেখানেই ১২ প্রস্তাব করতে যাচ্ছে কমিশন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন; সংসদ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হয়:

সংবিধানের ৫৮(খ) সংশোধণপূর্বক;

(১) সংসদের মেয়াদ অবসান হবার ১৫ দিন পূর্বে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনও কারণে সংসদ ভেঙে গেলে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে হবে।

(২) মেয়াদ অবসানের ক্ষেত্রে: সংসদের মেয়াদ অবসান হবার ৩০ দিন পূর্বে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকারের তত্ত্বাবধানে এবং সংসদ সচিবালয়ের ব্যবস্থাপনায় নিম্নকক্ষ হতে ১. প্রধানমন্ত্রী/সংসদ নেতা/সরকারি দলের সংসদীয় দলনেতা, ২. বিরোধী দলীয় নেতা, ৩. নিম্নকক্ষের স্পিকার, ৪. নিম্নকক্ষের বিরোধী দলীয় ডেপুটি স্পিকার, ৫. নিম্নকক্ষের সংসদ উপনেতা/প্রধান হুইপ, ৬. বিরোধী দলীয় উপনেতা/বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ ৭. নিম্নকক্ষের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি, ৮. উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান/স্পিকার, ৯. উচ্চকক্ষের বিরোধী দলীয় ডেপুটি চেয়ারম্যান/ডেপুটি স্পিকার, ১০. উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা ১১. উচ্চকক্ষের সংখ্যালঘু দলের (প্রধান বিরোধী দল) নেতা, ১২. রাষ্ট্রপতি মনোনিত উচ্চকক্ষের একজন সদস্য এবং ১৩. উচ্চকক্ষের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন সদস্য- মোট তের (১৩) সদস্য সমন্বয়ে ‘নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাই কমিটি’ গঠিত হবে। কমিটির যে কোনও বৈঠক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সভাপতিত্ব করবেন উচ্চকক্ষের/নিম্নকক্ষের স্পিকার।

সংবাদটি শেয়ার করুন