ঝিনাইদহের শৈলকুপা লাঙ্গলবাধ সড়কটির বেহাল দশা। দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। যার ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়কে যাতায়াতকারীদের। সড়কটির এই বেহাল দৃশ্য দেখার কেউ নেই। প্রায় ১৪ কিলোমিটারের এ সড়কটি শৈলকুপা থেকে পাইকপাড়া, ধাওড়া, কুশবাড়িয়া, লাঙ্গলবাধ বাজার সহ মাগুরার শ্রীপুর সড়কের সাথে মিশেছে।
এই সড়কের উপর লাঙ্গলবাধ, পাইকপাড়া ও ধাওড়ার গ্রামীণ বাজার রয়েছে। সড়কটিতে কুশবাড়িয়া, ধাওড়ার মানুষ সহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা, ও চলাচল করে প্রায় ১হাজারের ও বেশি মানুষ। যার ফলে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে এই সড়কে।
এখানকার লাঙ্গলবাধ বাজার একটি বিখ্যাত বাজার। এটি ঝিনাইদহ, মাগুরা ও রাজবাড়ি জেলার সীমান্তে অবস্থিত। এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষক হওয়ায় তারা উৎপাদিত কৃষিপণ্য ভ্যান আলমসাধু যোগে শৈলকুপা ও লাঙ্গলবাধ হাটে নিয়ে বিক্রি করে থাকে এই সড়ক দিয়ে। সড়কটিতে যে অবস্থা হয়েছে খানাখন্দে, তারা ও যানবাহন চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সাধারণ মানুষের চলাচলের এ সড়টি একদমই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশাল গর্ত আর রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ছোট ছোট খোয়াতে যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পাড়ে ও বহুবার নসিমন করিমন উল্টে আহতের ঘটনাটাও ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানান, আমরা কি অন্যায় করেছি যে আমাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এরকম অযোগ্য হয়েছে। কারওরই কি চোখে পড়ে না আমাদের এই দূর্দশা। আমাদের যাতায়াত বেশিরভাগই হয় ভ্যানে। আর এই ভ্যানে করে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বড় বড় গর্তের কারণে পেট যেন ব্যাথাতে ফেটে যায়। আমরা কি এদেশের নাগরিক না। আমাদের মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা এদেশের নাগরিক না এজন্যই আমাদের চলাচলের রাস্তার কোনো সংস্কারের কথাই মনে রাখছেন না উপর মহল।
জনপ্রতিনিধির নিয়মিত পরিবর্তন হয় কিন্তু পরিবর্তন হয় না এই লাঙ্গলবাধ টু শৈলকুপার সড়কের। দেখার যেন তাদের কেউই নেই। এলাকাবাসীর দাবি, অতিদ্রæত যদি লাঙ্গলবাধ শৈলকুপা সড়কের সংস্কার না করা হয় তাহলে তারা কঠোর মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলি জিয়াউল হায়দার জানান, সড়কটি মেরামতের টেন্ডার হয়ে গেছে। শিগগিরই মেরামত কাজ শুরু করা হবে। পুরো সড়কটি ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণের একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।
আনন্দবাজার/তাঅ