গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের যৌতুক লোভী পাষন্ড স্বামী- শাশুড়ী, আর দুই ননদের ধারাবাহিক শারীরিক-মানষিক নির্যাতনের স্বীকার ৮মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ঋতু খানম অবশেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কাশিয়ানী থানার ওসি মো. কামাল হোসেন ও ঋতুর বাবা মো. রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মুকসুদপুর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে আমার মেয়ে ঋতুর সঙ্গেঁ কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের সাজ্জাদ খানের প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। সাজ্জাদ ওই গ্রামের টেপু খাঁনের ছেলে। দেড় বছর আগে বিষয়টি জানার পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেশ কিছুদিন তাদের দাম্পত্যজীবন সুখ শান্তির মধ্যে দিয়ে চলছিলো। আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই হঠাৎ করে তার উপর যৌতুকের চাপ দিতে থাকে স্বামী, শাশুড়ি আর দুই ননদ। মেয়ের সুখের কথা ভেবে সাধ্যমতো যৌতুক হিসেবে বেশ কিছু টাকা দেই। চাহিদা মোতাবেক যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামী, শাশুড়ি আর দুই ননদ মিলে বিভিন্ন সময় মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে আমার মেয়ে উপর।
গত সোমবার ও বুধবার দিবাগত রাতে স্বামী, শাশুড়ি আর দুই ননোদ মিলে ঋতুকে ইচ্ছেমতো মারধর করে। ওদের মারপিটের যন্ত্রনা সইতে না পেরে শশুরবাড়ী থেকে পালিয়ে পাশের এক প্রতিবেশির ঘরে আশ্রয় নেয় ঋতু। খবর পেয়ে আমরা ঋতুর কাছে পৌছে তাকে উদ্ধার করি। এরপর গুরুত্বর আহত ঋতুকে বুধবার সকালে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।। ঘটনার পর স্বামী- শাশুড়ী ও দুই ননদ পলাতক রয়েছে।
ঋতুর মৃত্যুর পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়েছে।
এ ব্যপারে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা হলেও ঘটনার সাথে জড়িত কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি।
কাশিয়ানী থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, ঋতু খানমের ঘটনায় তার বাবা মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী-শাশুড়ী ও ননদসহ ৩জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
পলাতক থাকায় আসামীদের এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি, তবে খুব তাড়াতাড়ি তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।




