ঢাকা | বৃহস্পতিবার
৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাটগ্রাম থানা ভাঙ্গচুর করে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে বিএনপি নেতারা

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা ঘেরাও করে ভাঙ্গচুর, হামলা, আসামি কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে রাবার বুলেট ছোড়া হয়। এ সময় আট পুলিশ সদস্য আহত হন।

বুধবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল কোর্ট দুই জনকে এক মাসের করে সাজা দেন।

পাটগ্রামের অ-বাজার এলাকা থেকে রাতে বেলাল ও সোহেল নামে দুই জনের কাছে এক লাখেরও অধিক টাকার রিসিভ মানিসহ আটক করেন বলে জানান পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস।

মোবাইল কোর্টের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, আমার আদালত থেকে রায় হয়েছে। এই রায় বদলানোর একমাত্র পথ আদালত। এর পরে থানা ঘেরাও, আসামি ছিনিয়ে নেওয়াসহ এ ধরনের ঘটনায় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

একটি সূত্র দাবি করছে, বুধবার বিএনপির দুই জনকে আটক করার খবরে বিএনপির কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রাতে তারা থানায় আসে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে তোপের মুখে মধ্যরাতে ওই দুই জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার ও সাজার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপলসহ কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। মূলত গ্রেফতারের ঘটনায় অস্থিরতা তৈরি হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, থানায় হঠাৎ আক্রমণের ঘটনা ঘটলে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা বেশকিছু সরঞ্জামাদি নষ্ট করে দেয়। এ সময় আট পুলিশ আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন