বাংলা নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সকলকে সঙ্গে নিয়ে এবারের শোভাযাত্রা আনন্দময় হবে।’
এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। সেই সঙ্গে গতবছর জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে ‘ফ্যাসিবাদকে’ বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এই দেশে আর না হয়, সে প্রত্যাশাও ছড়িয়ে দেয়া হবে।
গত ২৩ মার্চ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়নি।
এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে, না কি তা পরিবর্তন করা হবে, তা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে তার দেয়া ব্ক্তব্যকে ‘মিস কোট’করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্ষবরণের প্রস্তুতিকে ঘিরে একাধিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ সময় তাকে কৌশলে শোভাযাত্রা বলতে শোনা গেলেও তিনি এড়িয়ে গেছেন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকেও প্রস্তুতির খবর জানাতে সাংবাদিকদের যে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে, সেখানেও ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ না লিখে, কেবল ‘শোভাযাত্রার’ কথা লেখা হয়েছিল।