ঈদের আগে রেমিট্যান্সে ভালো প্রবাহ দেখা দিচ্ছে। সাধারণত ঈদের আগে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠান। যাতে তাদের পরিবারগুলো ঈদ উপলক্ষে আর্থিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে। গত কয়েক বছরে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে, যা দেশের অর্থনীতি এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
একসময় বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, ওমান, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে পেছনে ফেলে এখন প্রবাসী আয়ের বড় উৎস হিসেবে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রবাসী আয়ের শীর্ষ উৎস হিসেবে তালিকায় উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। সর্বশেষ গত জানুয়ারি মাসে সৌদি আরব ও ইউএইকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠেছে যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে এসেছে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৪৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
প্রতিবেদনে আরও জানায়, শুধু ১৯ মার্চ একদিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) কেন্দ্রী ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, মার্চের প্রথম ১৯ দিনে দেশে এসেছে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ১২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৮.৪ শতাংশ
এদিকে গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী আয় এসেছিল যথাক্রমে ১৬৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও ১২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এ হিসাবে মার্চে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।