ঢাকা | রবিবার
১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ নেতার দখলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা

পানি উন্নয়ন বোর্ড (কাশিয়ানির) জায়গা জবরদস্তিমূলকভাবে দখল করে রেখেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা। বিগত ৩ বছর যাবৎ আইনী প্রতিরোধকে তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া দখলে মত্ত আছেন আওয়ামী নেতা দুলাল সরদার।

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাশবাড়িয়া মৌজায় পানি উন্নয়ন (পাউবো ) বোর্ডের জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে একাধিকজনের বিরুদ্ধে। একাধিকবার পাউবো কর্তৃক বাঁধা প্রদান ও সতর্ক করে অন্যদের উৎখাত করা গেলেও দমানো যায়নি আওয়ামীলীগ নেতা দুলাল সরদারকে। সরেজমিনে দেখা যায়,দখলকৃত জমিতে পাকা ঘর উত্তলনের কাজ শুরু করেছে বেপরোয়া দুলাল সরদার ও তার ছেলে রাশেদ সরদার।

এর আগে ২০২১ সালে প্রথম এই ঘটনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (কাশিয়ানির) নজরে আসে। পাউবোর লিখিত সতর্কবার্তা ও প্রতিরোধের কবলে পড়ে দুলাল সরদার ও তার ছেলে রাশেদ সরদার পাকা ঘর স্থাপনা নির্মানের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখেন।

পরিস্থিতি একটু স্থিতিশীল হলে দুলাল ও তার ছেলে জবরদস্তিমুলকভাবে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পাউবো পরবর্তীতে এ ঘটনায় থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। স্থানীয়রা ভূমিখেকো দুলাল সরদার ও তার ছেলের নামে বাংলাদেশ সচিবালয় ও বাংলাদেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও জায়গা দখলমুক্ত করতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানান, তাদের বাবা ছেলের বেপরোয়া জবরদস্তিমূলক আচরণের জন্য এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে যেকোনো সময় হত্যার মতো ঘটনা তারা ঘটাতে পারে। তারা দ্রুত এই ভূমিদস্যুর উৎখাত চায়।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসান সরদার বলেন, এই দখলদারদের বিরুদ্ধে আমরা সাধারণরা পাউবো বরাবর একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছি কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। দুলাল সরদার আওয়ামী শাসনামলে সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির ছায়াতলে ছিলেন, এখনো সেই স্বৈরাচারী মনোভাবের অবলম্বনেই ভূমি দখল করে আছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টা সত্য, তবে আমরা কোনভাবেই প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এ বিষয়টা সমাধান করতে পারবো না। ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া তাকে উৎখাত করতে গেলে রক্তপাতের সম্ভাবনা থাকে, তাই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হলে তাকে উৎখাত করা হবে।

মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি )সঙ্গে এবিষয়ে নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন