ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবারও পণ্যের দামের অস্বস্তি নিয়েই শুরু হচ্ছে রমজান

বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই পবিত্র রমজান ঘিরে নিত্য পণ্যের দামে ছাড় দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশে চিত্র বরাবই উল্টো। রমজান আসলেই রাতারাতি বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের দাম। সাধারণ ভোক্তাদের ভোগান্তি বাড়ে বহুগুণে।

এ বছর রমজানে চাহিদা বিবেচনায় বাড়তি যোগানের হিসাব দিয়েছে সরকার। বলেছেন, রমজানে সাধ্যের মধ্যেই থাকবে নিত্যপণ্যের দাম। এদিকে টিসিবির হিসাব বলছে, গত রমজানের তুলনায় লিটারে ৩০ টাকা বেড়েছে খোলা সয়াবিনের দাম। আর লিটারে ১০ টাকা বাড়লেও পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন। তবে শুল্ক ছাড়ের ফলে প্রতি কেজিতে চিনির দর ২০ টাকা, খেজুরে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে ছোলার দাম, প্রতি কেজি যা ১১০ টাকা।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কতিপয় বড় ব্যবসায়ীর কাছে আমাদের বাজার পুরো জিম্মি রয়েছে। এ বিষয়ে সরকার কোনরকম কোন উদ্যেগ নিচ্ছেন না।

আলু আর পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ায় কিছুটা দাম কমলেও মসলা পণ্য এলাচের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ, প্রতিকেজি সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি রসুনে দাম বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা। দামের সূচকে আগের জায়গায় রয়েছে গরুর মাংসের দাম, কেজিতে সর্বোচ্চ ৭৮০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লারে কমেছে অন্তত ২০ টাকা, যা এখন দুইশর ঘরেই। কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে সোনালী মুরগি। ডজনে ১০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা পর্যন্ত।

র‍্যাপিডের গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ দিন ইসলাম বলছেন, লাগাম টানতে হবে আমদানি সিন্ডিকেটের। তিনি আরও বলেন একজন ডেডিকেটেড গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োগ দেয়া উচিত যারা এদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সঠিক নীতিগ্রহণের পাশাপাশি নির্ভরতা কমাতে হবে গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠানের উপর। প্রয়োজন নজরদারি আর আইনের কঠোর প্রয়োগ।

তবে জানা যায়, এবার রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল প্রতিরোধে মাঠে থাকবে ভোক্তা অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টিম, বিএসটিআইসহ সরকারের নানা দপ্তর।

সংবাদটি শেয়ার করুন