ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার গুমের আয়নাঘর পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে থাকবেন বিবিসি, আলজাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা।

গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে গত রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্যরা। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, শিগগিরই তিনি আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন।

গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সেদিন জানান, ‘জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল’ যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত, সেগুলো প্রধান উপদেষ্টা পরিদর্শন করলে গুমের শিকার ব্যক্তিরা আশ্বস্ত হবেন এবং অভয় পাবেন। বৈঠকে কমিশন সদস্যরা কয়েকটি গুমের ঘটনার নৃশংস বর্ণনাও তার সামনে তুলে ধরেন। তারা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান যে, ছয় বছরের শিশুও গুমের শিকার হয়েছে, যা তদন্তে উঠে এসেছে।

প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনাদের তদন্তে যে ঘটনাগুলো উঠে এসেছে, তা গা শিউরে ওঠার মতো। আমি শিগগিরই আয়নাঘর পরিদর্শনে যাব।’

গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে বলা হয়, দেশে গত ১৫ বছরে সংঘটিত বিভিন্ন গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামও গুমের ঘটনায় সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গুম কমিশনের রিপোর্টে জানানো হয়, গত ১৫ বছরে গুমের ঘটনায় কমিশনে ১৬৭৬টি অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন