ঢাকা | বৃহস্পতিবার
৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি পূরণ না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি পালন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে তারা। ফলে বন্ধ রয়েছে রাস্তার দুই পাশের যানচলাচল।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্যের’ পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার থেকে এই কর্মসূচি লাগাতার চলবে। সড়ক ও রেলপথ এর আওতায় থাকবে। তবে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ব্যারিকেড কার্যক্রম শিথিল থাকবে।

এদিকে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিবৃতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত রয়েছে।

অপরদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন, যেকোনো মূল্যে ৭ দফা কর্মসূচি মেনে নেয়া হয়েছে এমন ঘোষণা আসতে হবে। যতক্ষণ এই ঘোষণা না আসবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে —
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।

৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।

৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।

৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

এর আগে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১টায় সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’ এর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়ার কথা জানান।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে দাবি মেনে নেয়া না হলে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ (উত্তর সিটি করপোরেশন আওতাধীন এলাকা) নামে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে এই সময়ের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের অনশন চলমান থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন