বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছেলে তারেক রহমানের বাসায় হাসিখুশি ও খুনসুটিতে সময় কাটাচ্ছেন। পুত্রবধূদের পরিচর্যায় তিনি এখন ‘অনেক সুস্থ’। এমনটাই জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী অনেক ভালো আছেন। তিনি বাসায় ফিরে খুব হাসিখুশি আছেন। আলহামদুলিল্লাহ গতকাল নেত্রীর সঙ্গে আমরাদের নেতা তারেক রহমানসহ এক সঙ্গে ডিনার করেছি। আমার মনে হয় তিনি ৬০ পার্সেন্ট সুস্থ হয়ে গেছেন।
সোমবার এশার নামাজের পর বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্বলন্ডনের ব্রিকলেন মসজিদে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষে আরাফাত রহমান স্মৃতি সংসদ, ইউকে আয়োজিত এক দোয়া মহফিল শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এমএ মালেক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ব্রিটিশ বাংলাদেশি দুটি টিম মিলেই আমাদের নেত্রীর চিকিৎসা দিচ্ছেন। হসপিটালের যে ট্রিটমেন্ট আমি মনে করি এর চেয়ে বেটার ট্রিটমেন্ট হচ্ছে বাসায়। আমি তাকে গত কালকেও দেখেছি। উনার মুখের হাসি, উনার কথা বার্তা…। উনার নাতীনরা ও ছেলের বৌয়েরা…। আমি গতকালকে দেখেছি ডা. জুবাইদা রহমান বসে খাওয়াচ্ছেন। পাশে আমাদের নেতা তারেক রহমান বসা। সেখানে আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহেদ হোসেন এবং আমিও সেখানে ছিলাম। আমাদের নেতা আমাকে ডেকে সেখানে বসালেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমি গর্বিত আমি সেখানে আমাদের নেত্রী ও নেতার সঙ্গে বসে একসঙ্গে একই টেবিলে বসে ডিলার খেয়েছি। আমি আল্লাহর শুকরিয়ো আদায় করছি।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় রোগী ডাক্তারকে দেখে মেন্টালি অনেক ভালো হয়ে যান। আর উনি গত ফ্যাসিবাদী সরকারের গত ১৫ বছরের যন্ত্রণা এবং টর্সার অন্যায় অবিচার অত্যাচার স্লো পয়জনিং এবং পরিত্যাক্ত বিল্ডিংয়ের ভেতরে জেলে রাখা। সব মিলিয়ে তিনি অনেক অসুস্থ্য ছিলেন। সেখানে কারো সঙ্গে কথা বলার সুযোগ ছিলো না। খবর দেখার মতো টেলিভিশনও ছিলো না। সেখানে আজ উনি উনার পুত্রবধূদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। এখানেই তিনি ৪০ শতাংশ ভালো হয়ে গেছেন। আর বাকি ৬০ শতাংশ ডাক্তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর বাসায় যাওয়ার মানে হচ্ছে, তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইছি। উনি অচিরেই দেশে যাবেন। দেশের জনগন উনাকে দেখতে চান।
আরাফাত রহমান স্মৃতি সংসদ, ইউকের আহ্বায়ক বাবর চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন, আরাফাত রহমান স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব আজিম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম, কামাল মিয়া, আওলাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বর্তমানে লন্ডনে বসবাসরত ছেলে তারেক রহমানের বাসায় রয়েছেন তিনি।