শ্রীনগরে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতারের নেপথ্যে আরেক আওয়ামী লীগ নেতার কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এনিয়ে ওই এলাকার আওয়ামী লীগে নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. সামাদকে পুলিশ গত ১৭ অক্টোবর রাতে গ্রেফতার করে। পরদিন শ্রীনগর থানা পুলিশ জানায়, আটক করে থানায় আনার পরপরই সে শারীরীক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যদের জিম্বায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে কোন মামলাও ছিলনা।
বিষয়টি নিয়ে ওই সময় উপজেলা জুড়ে বেশ আলোচনা হয়। কিন্তু কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু মুক্তারের প্রায় ৩ মিনিটের একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হয়। সেখানে জামাল নামে একজনের সাথে বাবু মুক্তারকে বলতে শোনা যায়, বিএনপির এক রাজনৈতিক নেতার চাপে ও তার বিরুদ্ধে মামলা না থাকায় সামাদ মেম্বারকে আটকে রাখা যায়নি। কথোপকথনের এক পর্যায়ে বাবু মুক্তারকে বলতে শোনা যায় যাদের সাথে কন্টাক্ট ছিল তারা বেইমানি করেছে।
ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুস সামাদ বলেন, তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনেক আগে থেকেই রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, কল রেকর্ড ফাঁস না হলে বিশ্বাসই হতোনা বাবু মুক্তার এই কাজ করেছে। বাবু মুক্তার এলাকায় চিহ্নিত টাউট বাটপার হিসাবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে নানা রকম জাল জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে বাবু মুক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।