ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর ফ্লাইটের আড়াইশ যাত্রীর নিরাপত্তায় তড়িৎ পদক্ষেপ হিসেবে প্লেনটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের জরুরি অবতরণ করানো হয়। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর এপিবিএন সূত্র জানিয়েছে, হুমকির বার্তাটি আসে এয়ারপোর্ট এপিবিএন’র ডিউটি অফিসারের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। সে সময় দায়িত্বে ছিলেন এএসপি আব্দুল হান্নান। ওই বার্তায় বলা হয়, বিমানের রোম থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর এগুলো বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।
হোয়াটসঅ্যাপের যে নম্বরটি থেকে বার্তাটি আসে সেটি পাকিস্তানি বলে জানিয়েছে এপিবিএন। বার্তাটি সতর্কতা হিসেবে জানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে, এটি কোনো হুমকি নয়— বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
বার্তা পাওয়ার পর ওই নম্বরে ফোন করা হলেও তা রিসিভ করা হয়নি উল্লেখ করে এপিবিএন সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে ফোন করা হলেও অপরপ্রান্ত থেকে সেটি রিসিভ করা হয়নি। তবে একইসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিং অব্যাহত রাখা হয়, পাশাপাশি সবাইকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়।
বিস্ফোরক কারা রেখেছে, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ে এমন প্রশ্ন করা হলে বলা হয়, কোনো বিরোধী পক্ষ আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আনার জন্য করতে পারে।
জানা গেছে, বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটটি রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইটটি বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের জরুরি অবতরণ করে। যাত্রীদের টার্মিনাল ভবনে রাখা হয়। সে সময় কাউকে ইমিগ্রেশন করতে দেওয়া হয়নি। পরে পুরো প্লেনে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে প্লেনে বোমা ও বোমা সদৃশ কিছু পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, পুরো প্লেন তল্লাশি করে কোনো বোমা বা বোমা সদৃশ কিছু পাওয়া যায়নি। যাত্রীদের সব ব্যাগেজ চেক করা হয়েছে। কোথাও বিস্ফোরক বা কিছু পাওয়া যায়নি। পরে যাত্রীদের ব্যাগেজ ফেরত দেওয়া হয়।
ফ্লাইটটি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল।
আনন্দবাজার ফারুক