মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের সনদ চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (২০ জনুয়ারি) অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত ভর্তি নীতিমালার ৯ (৩) অনুচ্ছেদে মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কোটার আসনে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি যাচাই বাছাই করে অনুমোদনক্রমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৩ জানুয়ারি ও ২৬ জানুয়ারি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর নির্বাচিত প্রার্থী, ২৭ থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আসনে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের কোটার স্বপক্ষে সনদ বা প্রমাণসহ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। আর কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের কোটা সংক্রান্ত দলিলাদি ২১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ই–মেইলের (medicalledu313@gmail.com) মাধ্যমে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে কোটায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ফল স্থগিত করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন চ্যানেল-24 অনলাইনকে বলেন, ‘আপনারা চাইলে এটা স্থগিত বলতে পারেন, আবার না চাইলে নাও বলতে পারেন। যাচাই–বাছাইয়ে কারও ত্রুটি ধরা পড়লে তার ফলাফল স্বাভাবিকভাবেই বাতিল হয়ে যাবে।’
এর আগে রোববার ( ১৯ জানুয়ারি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার ৩৭২ জন নির্বাচিত হয়, যাদের মধ্যে কোটায় ১৯৩ জন নির্বাচিত হয়।
কম নম্বর পেয়েও ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন-এমন যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে রোববার রাতেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ দেখান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলের দাবিও তোলেন।
আনন্দবাজার/এমকে