দেশের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর সৈয়দপুরের আধুনিকায়নের কাজ ভারত পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি)। ভারতের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন ও রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করছে। আধুনিকায়নের মাধ্যমে সৈয়দপুর বিমানবন্দরটিকে ভবিষ্যতে আঞ্চলিক বিমান যোগাযোগ এবং সম্ভাব্য কার্গো পরিবহন সংযোগের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা হবে।
সম্প্রতি সিএএবি’র সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া জানান, তারা সম্প্রতি এডিবির সঙ্গে সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং অন্য আরও দুটি বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের বিষয়ে বৈঠক করেছেন।
তিনি বলেন, অনেক দেশ সরকারকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নত করতে সহায়তা করতে চেয়েছে, যাতে নেপাল এবং ভুটান থেকে আরও যাত্রী ও মালামাল সংযুক্ত করা যায়।
ভারত তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে কি না এবং তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে সিএএবি চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি করে প্রেস কনফারেন্স শেষ করার আগে বলেন, ‘আমরা নিজেদের মাধ্যমে এটি নির্মাণ করতে চাই।’
এর আগে ২০২৩ সালে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সিএএবি পরিদর্শনকালে বাংলাদেশে একটি বিমানবন্দর নির্মাণ এবং পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সেসময় ভারতীয় দূত বাংলাদেশ সরকারের বিমান খাতের কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, বিদ্যমান বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ভারতীয় ঋণ সুবিধা (লাইন অব ক্রেডিট) ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সেসময় প্রণয় ভার্মা সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নির্মাণ ও সম্প্রসারণের বিলম্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ পূর্বে ভারতীয় ঋণ সুবিধার মাধ্যমে বিমানবন্দরটি সম্প্রসারণের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল।
খবর বাংলা আউটলুক