ঢাকা | সোমবার
১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে সব দিতে প্রস্তুত বেইজিং

প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে ২০ জানুয়ারি বেইজিং যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফর কূটনীতিতে নতুন বার্তা দেয়ার ইঙ্গিত বহন করছে। এর আগে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকার প্রথম বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে সবসময় ভারতের ওপর জোর দিয়েছিল। তবে এবার চীনকে বেছে নেয়া সেই প্রচলন থেকে সরে আসার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন অনেকে।

অর্থনীতিবিদ মাশরুর রিয়াজ বলেন, “গত ১৫ বছরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের ওপরই বেশি নির্ভরশীল ছিল। এবার চীনের সাথে সম্পর্ক জোরদারের এই পদক্ষেপ ইতিবাচক দিক হতে পারে।”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক সাহাব এনাম খান মনে করেন, চীন দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সফর শুরু করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে বহুমুখীতা আনার ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্র বা লন্ডন দিয়ে শুরু হলেও সাধুবাদ পেত। তবে নির্দিষ্ট কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল না থাকার এই কৌশল প্রশংসার যোগ্য।”

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং এর সময় করা ২৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তির মাত্র আট বিলিয়নের মতো পেয়েছে বাংলাদেশ। এই অর্থপ্রবাহে গতি আনতে চায় সরকার। একইসাথে নতুন বাস্তবতায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে চীনের সাথে আলোচনাও জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটিকে আস্থায় নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।

মাশরুর রিয়াজ বলেন, “এর আগে আলোচনায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতির কারণেই চুক্তির পুরো সুবিধা আসেনি। এবার এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে।”

এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে চীনের সহযোগিতাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাগুলোর একটি। সাহাব এনাম খান মনে করেন, বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে রাখাইন অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য চীনের সাথে মিলিয়ে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও মানুষের যা প্রয়োজন, তার সব দিতে প্রস্তুত বেইজিং।

সংবাদটি শেয়ার করুন