‘বিচার ব্যবস্থা এনালগ করে রেখেছেন, না হলে আদালতে আসতে হতো না। কারাগারে বসে হাজিরা দিতেন।’- সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে উদ্দেশ্য করে বলেন আদালত। তখন মহানগর দায়রা জজকে পলক জানান, ‘করোনার সময় চালু করেছিলাম। অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল, চেষ্টা করেছি। পরে আর আগানো যায়নি।’
সোমবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) এসব কথা বলেন। এ সময় দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন আদালত। জুনায়েদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন। আবেদনে বলা হয়, জুনায়েদ আহমেদ পলক যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল-হাজতে আছেন। তিনি সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা ১ এর মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। জেল হাজতে থাকা এজাহার নামীয় এ আসামিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।
জ্যোতিকে গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। আবেদনে বলা হয়, আসামি শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি, তার বাবা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পরস্পর যোগসাজশে ১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫০২ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি সেসব সম্পদ নিজ ভোগ দখলে রাখেন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে নিজে এবং ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবহৃত ব্যাংক হিসাবে মোট ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭২ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করেন।