দেশের আলোচিত শিল্প প্রতিষ্ঠান এস.আলমের ৬ কারখানা বন্ধের খবরে কয়েক হাজার শ্রমিক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কারখানার নোটিশ বোর্ডে অনিবার্যকারণ দেখিয়ে এসব কারখানা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। এসব কারখানায় পাঁচ হাজারেরও অধিক শ্রমিক রয়েছে বলে জানা যায়।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, দেশের পরিস্থিতি ও মালিকপক্ষের নানা সমস্যার কারনে ৫ আগষ্টের পর থেকে দেশের বৃহত্তম শিল্প গ্রæপ এস.আলমে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর কালারপুল এলাকায় অবস্থিত এস.আলম কোল্ড রোল্ড ষ্টীলস লি. ,এস.আলম কোল্ড রোল্ড ষ্টীলস লি-নফ, এস.আলম পাওয়ার জেনারেশন লি., মইজ্জারটেক এলাকার ইনফিনিটি সি আর ষ্ট্রীপস ইন্ডা. লি., চরপাথরঘাটা এলাকার এস. আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডা. লি. ও বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকার এস. আলম পাওয়ার প্লান্ট লি. কারখানা অনিবার্যকারণবশতঃ ২৫ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে।
এদিকে নোটিশ পাওয়ার পর কারখানার পাঁচ হাজারের অধিক শ্রমিক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শ্রমিকরা কার বন্ধ করে পূর্বের ঘোষণা ছাড়া কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ জানান। এতে বক্তব্য রাখেন, প্রোডাকশন ম্যানাজার নাজিম উদ্দিন, অপারেটর অসুখ বড়–য়া, সহকারী প্রোডাকশন ম্যানাজার মো. শহীদুল্লাহ, অপারেটর ইমতিয়াজ উদ্দিন ইমন প্রমুখ।
এস.আলম কোল্ড রোল্ড ষ্টীলস লি. এর প্রোডাকশন ম্যানাজার নাজিম উদ্দিন বলেন, হঠাৎ অনিবার্য কারন দেখিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন, আমার শ্রমিকরা নানা সমস্যায় রয়েছি, কোন কিছু না বলে আজ কোম্পানী বলতেছে কারখানা বন্ধ, আমাদের জানাল সাধারণ ছুটি কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে কি কারে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করল তা জানাতে হবে। আমরা কর্তৃপক্ষকে আজ বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সময় দিলাম।
অপারেটর ইমতিয়াজ উদ্দিন ইমন বলেন, কারখানায় কাঁচামালও রয়েছে, উৎপাদনও চলতেছে তাহলে কেন বন্ধ ঘোষণা করল,ডেলিভারীও চলতেছে, তাহলে বন্ধ ঘোষনা কি করণে!
বন্ধের বিষয়ে এস. আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডা. লি. এর ডিজি এম ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম জানান, বন্ধের বিষয়টি কোম্পানীর সিদ্ধান্ত, আমার হাতেও একটি নোটিশ এসেছে, আমার কিছু কারার নেই।