নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আমাদের কাজ হলো নির্বাচনীব্যবস্থার বিভিন্ন সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া। কারা নির্বাচনে আসবে বা আসবে না, কারা যোগ্য কিংবা যোগ্য নন—সেটা নির্ধারণ করবেন নির্বাচন কমিশন। এটা আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম উন্নত করাই তাঁদের মূল লক্ষ্য।
আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা করেন।
বদিউল আলম মজুমদার আরো বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ ৩১ তারিখের আগেই আমরা আমাদের প্রস্তাবটা দেব। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনী ট্রেনটা যেন ট্র্যাকে উঠে। এ জন্য প্রথম কাজ যেটা দরকার ছিল নির্বাচন কমিশন গঠন করা। ওনারা তা–ই করেছেন।’ বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুরোনো আইনে পরিচালিত হলেও সংস্কার কমিশনের সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক নয় বলে মন্তব্য করেন।
কমিশনপ্রধান বলেন, ‘আমাদের কাজের সঙ্গে তাদের কোনো রকম সাংঘর্ষিক অবস্থান তৈরি করছে না। যাদের নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে, তারা অত্যন্ত সম্মানিত এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তারা সঠিক ব্যক্তি এবং তারা আমাদের একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবে।’
নির্বাচনে প্রশাসন আর কারও পক্ষে ব্যবহার হতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তারা আজকে কথা বলেছেন। ওনারাও ব্যবহৃত হতে চান না। তাঁরাও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। সেভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করবেন।’
নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহারের নির্বাচন সংস্কার কমিশনপ্রধান বলেন, ‘ইভিএমের আর প্রশ্নই আসে না। ওটা হবে না। নির্বাচন কমিশনও বলেছে, আমরাও একই মত দিয়েছি।’