বিটিশ সাময়িকী ‘দ্য ইকনোমিস্ট’র বিচারে ২০২৪ সালের সেরা দেশ নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পতনে এই স্বীকৃতি মিলেছে।
ইকনোমিস্টের দাবি, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নোবেলজয়ী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃতে বাংলাদেশে স্থিতিশীল হয়েছে অর্থনীতি, ফিরছে শান্তি-শৃঙ্খলা। এখন উদারপন্থী সরকারের পথে হাঁটছে ঢাকা।
ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকনোমিস্ট প্রতিবছরই ডিসেম্বরে বর্ষসেরা দেশ নির্বাচিত করে। সেরা দেশ নির্বাচনে শীর্ষ ধনী, সবচেয়ে সুখী বা নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ স্থানের অধিকারীদের নয় বরং বিবেচনা করা হয়েছে ১২ মাসের উন্নতির চিত্র। আর সেই বিচারে তাদের কাছে ২০২৪ সালের সেরা বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে সেরা নির্বাচনের কারণ হিসেবে দেশে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে নতুন অধ্যায়ের সূচনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার বিরত্বগাঁথা।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, দেশের স্বাধীনতার একজনের নায়কের কন্যা একসময় দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দেওয়া শেখ হাসিনা দমনপীড়ন আর ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে স্বৈরশাসকে পরিণত হয়েছেন। তার ১৭ বছরের শাসনামলে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের চিত্র উঠে আসে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার সবার সমর্থন নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার শান্তি-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে। বর্তমানে ঢাকা হাঁটছে উদারপন্থি সরকার দিকে।
দ্য ইকোনোমিস্টের দাবি, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার দীর্ঘ ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ নির্ধারণ করাই আগামী বছরের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও রানার্সআপ সিরিয়া ছাড়াও সেরা দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে পোল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আর্জেন্টিনা।