প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। এ সময় গুমের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তদন্তের উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বিচার প্রক্রিয়া ন্যায় ও স্বচ্ছ রাখতে উৎসাহ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশের একটি তদন্ত কমিশনের প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। এই কমিশন বাংলাদেশে গুমের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এ বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য আছে কী?
জবাবে প্যাটেল বলেন, গত দুই দশকে শত শত বাংলাদেশিকে গুম করার প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গুম একটি ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন, যা ভুক্তভোগীদের ওপর অনির্দিষ্ট আটক বা নিখোঁজ হওয়ার ট্রমা চাপিয়ে দেয়। এটি তাদের পরিবারের ওপরও অনিশ্চয়তার ট্রমা সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, আমরা এই অপরাধগুলোর তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং বিচারের জন্য ন্যায় ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় রাখার আহ্বান জানাই, যাতে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সুবিচার পেতে পারেন।
এর আগে গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয় গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেশে গত ১৫ বছরে সংঘটিত বিভিন্ন গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে এই কমিশন।