ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৪ঠা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তরের সামনে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অবস্থান

প্রজ্ঞাপনের দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ আমলে অবসরে যাওয়া বঞ্চিত কর্মকর্তারা। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর বঞ্চিত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা সচিবের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির এ প্রজ্ঞাপন না নিয়ে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কথা বলার জন্য দপ্তরের বাইরে বের হয়ে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের তোপের মুখে পড়েন জনপ্রশাসন সচিব। এ সময় বিক্ষুব্ধ বঞ্চিত কর্মকর্তাদের কেউ কেউ জনপ্রশাসন সচিবকে পদত্যাগ করতে বলেন।

জনপ্রশাসন সচিব কর্মকর্তাদের বলেন, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে তার কাছ থেকে কোনো ফাইল আসেনি। ওই ফাইল আসার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

এরপরও সচিবের ওপর চড়াও হয়ে কথা বলতে থাকেন বঞ্চিত কর্মকর্তারা। পরে জনপ্রশাসন সচিব নিজের দপ্তরে ঢুকে পড়েন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কয়েকদিন ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি পালন করে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

তাদের দাবিগুলো হলো:

  • ফ্যাসিবাদী সরকার কর্তৃক পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরসহ সব স্তরের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মচারীদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা ও জ্যেষ্ঠতাসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির ‘প্রজ্ঞাপন’ অবিলম্বে জারি করতে হবে।
  • ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং বর্তমান সরকার কর্তৃক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
  • বর্তমানে কর্মরত সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর, ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত স্বেচ্ছাচারী, দুর্নীতিবাজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ কাজে লিপ্ত কর্মকর্তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহারপূর্বক আইনের আওতায় আনতে হবে।
  • দলবাজ, অদক্ষ ও সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের অপসারণ/অব্যাহতি প্রদানপূর্বক ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখের পর দীর্ঘদিনের বঞ্চিত কর্মরত যে সমস্ত কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েও এখনো পদায়ন পাননি তাদের দ্রুত উপযুক্ত পদে পদায়ন করতে হবে।
  • মাঠ প্রশাসনে কর্মরত বিতর্কিত জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ, সৎ, দক্ষ কর্মকর্তাকে পদায়ন করতে হবে। পূর্বের ফিট লিস্ট বাতিল করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুনরায় ফিট লিস্ট করতে হবে।
  • বিগত সরকারের সময় যারা দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি পেয়েছে তাদের পদোন্নতি আদেশ বাতিল এবং আর্থিক সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে। বিদেশে ‘বেগম পাড়া’য় বাড়ি ক্রয়সহ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন