ঢাকা | সোমবার
৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২২শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রুশ সমর্থন হারিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন আসাদ

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ায় চলা গৃহযুদ্ধের মধ্যে রোববার (০৮ ডিসেম্বর) দামেস্কে ঢুকে পড়েন বিদ্রোহীরা। পরে বিমানে করে দামেস্ক ছাড়েন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এর আগে ২৪ বছর ক্ষমতার মসনদে ছিলেন তিনি। দেশের অভ্যন্তরের সংঘাত নিরসনে দীর্ঘ সময় তার পাশে ছিলো রাশিয়া এবং ইরানের মতো শক্তিশালী মিত্ররা। তবে শেষ মুহূর্তে মিত্রদের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি।

বাশার আল আসাদের পালানোর পর পর নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাশিয়ার সমর্থন হারিয়ে “তার দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন”। রোববার (০৮ ডিসেম্বর) তিনি তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বলেন, “আসাদ চলে গেছে, তার রক্ষক ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে থাকা রাশিয়া, তাকে আর রক্ষা করতে আগ্রহী ছিল না।” খবর আল জাজিরার।

এর আগে আসাদ সরকারের পতনের পর প্রতিক্রিয়া জানায় বাশার আল-আসাদের পতনের বিষয়ে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার দল সিরিয়ার অসাধারণ ঘটনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গেও অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছে।”

অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের পালিয়ে যাওয়ার পর সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, তার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে কাজ করবেন। আর বিদ্রোহী দলের প্রধান জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন