ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার সৈকতে ৫০ ফুট উচ্চতার বিশালাকার ‘প্লাস্টিক দানব’

সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে আছে প্লাস্টিকের তৈরি বিশালাকার প্লাস্টিক দানব। যেন বলছে, ধীরে ধীরে প্লাস্টিক গ্রাস করে নেবে পুরো পৃথিবী। ৫০ ফুট উচ্চতার দেশের সর্ববৃহৎ এই ‘রোবট দানব’ তৈরিতে লেগেছে ১০ টন প্লাস্টিক। মূলত প্লাস্টিক দূষণ রোধে মানুষকে সচেতন করতেই নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ।

কক্সবাজার সৈকত থেকে সংগ্রহ করা প্লাস্টিক দিয়ে এই দানব নির্মাণ করেছে জেলা প্রশাসন এবং বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। মানুষকে প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতন করতেই বানানো হয়েছে দৈত্যাকার এই ভাস্কর্য।

সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, প্লাস্টিক বর্জ্যে কিভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তা এ দানব তৈরির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এ ধরণের উদ্যোগ সারাদেশে থাকা উচিত।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন জানায়, গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ টন প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়েছে। চারমাস ব্যাপী এ কর্মসূচিতে ৫ লাখ কেজি প্লাস্টিক রিসাইকেল করার কথা রয়েছে। এতে সরকারের প্লাস্টিক রিসাইকেলে খরচ কমার পাশাপাশি বাড়বে জনসচেতনতা।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা বার্তা দিতে চাচ্ছি যে প্লাস্টিক কিভাবে মানব জাতিকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলছে। এতে করে প্লাস্টিক বর্জ্যের ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়বে।

জেলা প্রশাসন বলছে, প্লাস্টিক দূষণরোধে ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্যে জনসচেতনতা। চার মাস পর আমরা এটিকে যথাযথভাবে রিসাইকেলের জন্য ব্যবস্থা নেব। ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতার তৈরি হলেই কেবল প্লাস্টিকের ভয়াবহতা রোধ করা সম্ভব।

এদিকে, প্লাস্টিকের তৈরি দানবের পাশে বসানো হয়েছে স্টল। যেখানে প্লাস্টিক জমা দিলেই দেয়া হচ্ছে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

সংবাদটি শেয়ার করুন