ঢাকা | বুধবার
৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারি

উত্তর কোরিয়াপন্থী কমিউনিস্ট বাহিনীর হাত থেকে দেশ রক্ষায় দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। মঙ্গলবার গভীর রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ওয়াইটিএনে দেওয়া জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

যদিও পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত চিরবৈরী প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনও হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এই সামরিক আইন জারি করা হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে ভাষণে কিছু জানাননি ইউন সুক-ইওল। তবে সামরিক আইন জারির পেছনে দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি।

আকস্মিক এই সামরিক আইন জারির ঘোষণায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে মানুষের মাঝে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশটির ইতিহাসের গোড়ার দিকে একাধিক কর্তৃত্ববাদী নেতা এই পথে হেঁটেছিলেন। তবে ১৯৮০’র দশক থেকে গণতান্ত্রিক পথে যাত্রা করে দেশটি। সম্প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা ওনের মানের ব্যাপক পতন ঘটেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন জারির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে হোয়াইট হাউস সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেছেন, মুক্ত এবং সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সামরিক আইন জারির পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া তার আর কোনও উপায় ছিল না। তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলো সংসদীয় প্রক্রিয়া জিম্মি করে দেশকে সংকটের মাঝে ফেলে দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমি উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি থেকে মুক্ত কোরিয়ার প্রজাতন্ত্র রক্ষা, জনগণের স্বাধীনতা ও সুখ লুণ্ঠনকারী ঘৃণ্য উত্তর কোরিয়াপন্থী রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলোকে নির্মূল এবং স্বাধীন সাংবিধানিক সুরক্ষার জন্য সামরিক আইন ঘোষণা করছি।’’

তবে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা ভাষণে বলেননি তিনি। দক্ষিণের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ বলেছে, পার্লামেন্ট ভবনের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন