বিগত আওয়ামী সরকার ব্যাংকগুলোকে নিঃশেষ করে দিয়ে গেছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানগুলোই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অনেক প্রকল্প করা হয়েছে, ফিজিবিলিটি টেস্ট করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ‘পলিসি ডায়ালগ অন ফিন্যানসিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক খাতে যেভাবে লুটপাট হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ইতোমধ্যে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের ঋণ দিতে বেশ আগ্রহী। আশা করছি এ অবস্থা দূরতই উন্নতি হবে।
তিনি বলেন, আদানিকে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে কিন্তু কোন কর নেয়া হয়নি। এটি কোনো চুক্তি হলো? আপনারা শুনে আরও আশ্চর্য হবেন, সারের ১৩৫ মিলিয়ন ডলার বিগত সরকার পরিশোধ করেনি। আমরা এসে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছি রিজার্ভে হাত না দিয়ে। বিগত সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কারণে আজকে অর্থনীতির এমন দূরাবস্থা।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলে ধরা পড়বে। প্রাইভেট কিংবা পাবলিক সেক্টর যেই হোক ধরা পড়বে।
এ ছাড়া, সময় সাপেক্ষ হলেও দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আগামীর জন্য এমন পলিসি করা হচ্ছে যাতে কেউ আর টাকা পাচার করতে পারবে না। গত ১৫ বছরে অর্থনীতিতে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার স্বল্পমেয়াদি সংস্কারকাজ চলছে। এরই মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। তবে সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত পুরো অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।