প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মতো ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে স্বয়ংক্রিয় পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা আরও যৌক্তিক করা হয়েছে।
রোববার (০৩ নভেম্বর) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনটি আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে এখন থেকে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না বিধায় অনিবাসী বাংলাদেশিরা যে কোন অংকের অর্থ এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম’ এর আওতাধীন পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ করা যাবে।
এ ছাড়া, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক-মেয়াদি হিসাবের ক্ষেত্রে মুনাফাসহ মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ পুনঃবিনিয়োগ এর সুবিধা থাকবে।
জানা যায়, ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে একবার আনীত রেমিট্যান্সের অর্থ এক মেয়াদে বিনিয়োগ এবং আরও দুই মেয়াদে পুনঃবিনিয়োগ অর্থাৎ তিন মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে। ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে আনীত রেমিট্যান্সের অর্থ একবার বিনিয়োগ এবং আরও চার বার পুন:বিনিয়োগ অর্থাৎ পরপর সর্বোচ্চ পাঁচ মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে।
এদিকে, বিদেশি মালিকানাধীন শিপিং বা এয়ার ওয়েজ কোম্পানির বিদেশে থাকা অফিসে চাকরিরত অনিবাসী বাংলাদেশি মেরিনার, পাইলট ও কেবিন ক্রুদের ওয়েজ আর্নার্স বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে পেনশনারদের সুবিধার্থে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফার পরিবর্তে প্রতি মাসে মুনাফা দেওয়ার বিধান করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ মনে করে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অধীনে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার ও সঞ্চয়পত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগের সুবিধা এবং বাংলাদেশি মেরিনার, পাইলট ও কেবিন ক্রুগণের জন্য ওয়েজ আর্নার্স বন্ডে বিনিয়োগের সুবিধা দেওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশি পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা যথাযথভাবে বাংলাদেশে আনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।