দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাননি বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত গেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। তিনি জানিয়েছেন, বিসিবির তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকলেও রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই দেশে আসতে পারেননি সাকিব।
বুধবার বোর্ড সভায় ঢোকার আগে গণমাধ্যমকে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘আপনি যেটা বললেন যে শেষ টেস্ট খেলতে ফিরতে পারেনই। একেবারেই আমরা কোনওভাবে জড়িত নই এই ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসান তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের পুরোপুরি অক্সিলারি একটা পার্ট নেওয়ার কথা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সামনে যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব আল হাসান দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।’
ফারুক দাবি করেছেন, সাকিবকে দেশের মাটিতে বিদায় দেওয়ার সব চেষ্টাই তিনি করেছেন। কিন্তু সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই মূলত সেই চেষ্টা বিফলে গেছে।
পরের বক্তব্যে ফারুক স্পষ্ট করে বলেছেন, সাকিবের না আসাতে বোর্ডের কোন দায় নেই। এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি যে, একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে। আমি মনে করেছি, তার দেশ থেকে অবসর হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না।
আনন্দবাজার/ আরবি