ঢাকা | শুক্রবার
১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্যটকদের জন্য নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খুলে দেয়া হবে রাঙ্গামাট ও খাগড়াছড়ি

আগামী ১লা নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি ও ৫ই নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ি খুলে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের জন্য এবং পর্যায়ক্রমে বান্দরবান খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে দৈনিক আনন্দবাজারের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার পরিবেশ কবে নাগাদ শান্ত হতে পারে এবং কবে থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমরা জানি এই পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটক বন্ধ থাকায় এ খাতের ব্যবসায়ীরা দুর্বল হয়ে গেছে এবং এ খাত কিছুটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। এজন্য আমাদের ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১লা নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি এবং ৫ নভেম্বর খাগড়াছড়ি খুলে দেয়া হবে পর্যটকদের জন্য। এরপর পর্যায়ক্রমে খুব দ্রুতই বান্দরবানও খুলে দেয়া হবে। যেটা দ্রুতই বাস্তবায়ন দেখতে পাবেন।

তিনি বলেন, আমার এসেসমেন্ট আছে যে বর্তমানে পার্বত্য জেলাগুলোর পরিবেশ মোটামুটি শান্ত হয়েছে। আমি মনে করি না আর আগের মতো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। যেটা গত ১৮, ১৯ আগস্ট যে একটা চুরির ঘটনা থেকে এবং এরপর গত ১ অক্টোবর একটি ধর্ষণের ঘটনার পর পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়। হঠাৎ করে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু আমরা চাচ্ছি সবাই মিলে এই সমস্যাগুলো থেকে দ্রুত বেড়িয়ে আসতে । পাহাড়ি ও বাঙ্গালীদের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক বজায় থাক। এটা থাকা খুব জরুরি। আমাদের যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটা খুব ভালো করে বুঝে এবং চেষ্টা করছে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে। একই সঙ্গে সবাইকে অনুরোধ জানাবো আইন যেন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেয়।

তিনি বলেন, কেউ যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তাদের শাস্তি হওয়াটা জরুরি। তবে পার্বত্যবাসীরা অনেক সময় মনে করে যে তারা ন্যায্য বিচার পাচ্ছে না। আমরা বলতে পারি অপরাধী যেই হোক তার বিচার হবে। একই সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন নিরপরাধী যেন হয়রানির স্বীকার না হয় সে দিকে আমাদের চেষ্টা থাকবে।

উপদেষ্টা বলেন, পর্যটকদের জন্য বর্তমানে পরিবেশ শান্ত আছে। এজন্য আমরা খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।

তাহলে কি মনে করছেন সেখানে আর কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হবে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটাতো বলতে পারবো না, হঠাৎ করে একটা ঘটনা ঘটে গেলো সেটাতো বলতে পারবো। এ ধরনের ঘটনা আমারিকাসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ঘটতেছে। একুটুই বলবো সেখানে পর্যটক যাওয়ার মতো পরিবেশ রয়েছে। আমাদের সার্ভিস সেক্টর তাদের জন্য বসে আছে।

আপনি একটু আগে বললেন পাহাড়িরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আপনারা কি করছেন জানতে চাইলে সু প্রদীপ চাকমা বলেন, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেটার কোনো বিচারের সুরাহা এখন পর্যন্ত হয়নি। এজন্য তাদের ভিতরে এধরনের মনোভাব তৈরি হয়েছে। তারা ইনানিং এধরনের কথা বলছে। আমরা তাদের আস্বস্ত করতে চাই যারা প্রকৃত অপরাধী তারা শাস্তি পাবেই এবং যারা নিরপরাধ তারা যেন কোন অবস্থাতে হয়রানির স্বীকার না হয় সে দিকে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে এবং সেটা সফল হবে বলে মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যেই আসুক সবারই চেষ্টা থাকে শান্তি বজায় রাখার। যেহেতু এই অঞ্চলটা আমাদের বাংলাদেশের ফলে সরকার যেই হোক উদ্যোগে থাকবেই।

আনন্দবাজার/ আরবি

সংবাদটি শেয়ার করুন