পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন বর্তমান সরকারের তিন উপদেষ্টা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার পর রাঙামাটি জেলার সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে এ বৈঠকে বসেছেন তারা। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত তিন উপদেষ্টা হলেন– স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে বিজিবি হেড কোয়ার্টারে পৌঁছান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ (অব.) তিন উপদেষ্টা।
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে শুক্রবার সংঘর্ষের পর ওইদিন রাত থেকেই সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশের সম্মিলিত টহল বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় রাঙামাটির পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় মূল সড়কে গাড়ি নেই, তবে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে।
এদিকে, তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে।
উল্লেখ্য, গেল বুধবার জেলার নিউজিল্যান্ড এলাকায় গণপিটুনিতে মামুন নামে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। একপর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসতবাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৫০-৬০টি দোকান। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হন।