ছাত্রদের মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত হত্যার মামলাগুলো প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিদের ইশারায় আসামীদের নাম সংযোজন-বিয়োজন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্য ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যুও রয়েছে।
অভিযোগ করা হচ্ছে যে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাদের দলের ক্ষমতা ব্যবহার করে কার নামে মামলা হবে তা নিয়ন্ত্রণ করছেন।
গত রোববার (১৯ আগস্ট) আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। তবে অভিযোগ উঠেছে যে আবু সাঈদের হত্যায় জড়িত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও একজন ঠিকাদার, যাদেরকে ভিডিওতে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করতে দেখা গিয়েছিল, তাদের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদিও ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়াও, অভিযোগ করা হচ্ছে আবু সাঈদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন কিছু ব্যক্তির নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তবে, জেলা বিএনপির একজন আইনজীবী নেত্রী আবু সাঈদের জন্য আরও একটি হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করেন। তবে কিছু প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপের কারণে তিনি সফল হতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু আরএমপি কর্মকর্তা বলেন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম মামলার অভিযুক্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এবং কিছু নির্দোষ ব্যক্তির নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।