সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তাঁর স্ত্রী, কন্যাসহ আওয়ামী লীগের সাবেক তিন এমপির দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ১৬ হাজার কোটি টাকা তারা আত্মসাৎ ও লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদকে ইতিমধ্যে উপপরিচালক নুরুল হুদার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ছাড়াও অন্য ছয় অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী কাশমেরী কামাল, মেয়ে নাফিসা কামাল, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ ও ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার নির্ধারিত ৭৯ হাজার টাকা ফি থাকলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নামে থাকা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো প্রায় সাড়ে চার লাখ বিদেশগামী প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা করে রেখেছে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ১৬ হাজার কোটি আদায় করেন। গত দেড় বছরে বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) মালয়েশিয়াগামী প্রায় সাড়ে চার লাখ কর্মীর ছাড়পত্র প্রদান করেছে। ভেরিটে ইনকরপোরেটেডসহ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পাঁচটি গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর মালিকানাধীন স্নিগ্ধা ওভারসিজ গত দেড় বছরে মালয়শিয়ায় প্রায় আট হাজার কর্মী পাঠিয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনাল পাঠিয়েছে ৮ হাজার ৫৯২ জন শ্রমিক, বেনজীর আহমেদের আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল পাঠিয়েছে ৭ হাজার ৮৪৯ জন শ্রমিক। কামালের স্ত্রী কাশমেরী কামালের অরবিটালস এন্টারপ্রাইজ পাঠিয়েছ ৭ হাজার ১৫২ জন শ্রমিক ও তাঁর মেয়ে নাফিসা কামালের অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল পাঠিয়েছে ২ হাজার ৭০৯ জন শ্রমিক।