অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয় করতে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
লিয়াজোঁ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন মাহফুজ আলম (মাহফুজ আব্দুল্লাহ), নাসির আব্দুল্লাহ, ভূইয়া আসাদুজ্জামান, আকরাম হুসাইন, মামুন আব্দুল্লাহিল এবং আরিফুল ইসলাম আদিব। তবে, এ কমিটি পরবর্তী সময়ে আরো বর্ধিত করা হবে বলে জানান সমন্বয়করা।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আমরা সরকারের রূপরেখা দিয়েছিলাম। আমরা রূপরেখা প্রস্তুত করে ড. ইউনুসের কাছে উপস্থাপন করেছিলাম এবং তিনি সেটি স্বাগত জানিয়েছেন। ড. ইউনূস আজ দেশে ফিরেছেন, আজকে রাতেই শপথ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা এই কাজটির জন্যে গত ৫ আগস্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছিলাম। মূলত এই কমিটিই কাজটি করেছে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা প্রণয়ন ও অংশীজন নির্ধারণের জন্য মাহফুজ আলমকে প্রধান করে কমিটি গঠিত হয়। লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা অংশীজন, যাদের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে কথা বলে অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হন। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশীজন নির্ধারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাছে কিছু অংশীজনের নাম প্রস্তাব করেন। ৬ তারিখ লিয়াজোঁ কমিটির দুইজন সদস্য মাহফুজ আলম ও নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বঙ্গভবনে ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা বিভিন্নভাবে সমন্বয়ক করেছেন।
এই লিয়াজোঁ কমিটি সরকার গঠনের পরবর্তী রাষ্ট্রের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, এই কমিটি সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ ও আলোচনা করবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই কমিটির কাজের পরিধি বৃদ্ধি করা হবে। কমিটির সদস্য সংখ্যা সব দলমতের সঙ্গে সংলাপের ভিত্তিতে আরও বর্ধিত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।
এছাড়াও, কমিটির প্রধান মাহফুজ আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যত অংশীজন আছে সবার সঙ্গে আলাপ-পরামর্শ ডিবেট এবং ডায়ালগের ভিত্তিতে প্রস্তাবনা হাজির করা লিয়াজোঁ কমিটির কাজ। এক্ষেত্রে সরকার নাগরিক সমাজ এবং ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে একটা সমন্বয় হিসেবে কাজ করা, সমন্বয় করা।