সরকারি চাকরিতে কোটা (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) বাতিলে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের রায়টি বাতিল চেয়েছি। সুপ্রিম কোর্ট যেটা বলে দেবেন, সেটা কেউ আর পরিবর্তন করতে পারবে না। কিন্তু আবারও যদি একটা আদেশ (সরকার থেকে) আসে সেটা তো আবারও কোর্টে এসে বাতিল করে দেওয়া যাবে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত থেকে কোনো আদেশ হলে সেটা এভাবে বাতিল হয় না।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত রোববার প্রকাশিত হয়। এর আগে গত ১১ জুলাই সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, প্রয়োজনে কোটার অনুপাত পরিবর্তন, হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে এই রায় সরকারের ওপর কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। আর কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সরকার সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ ছাড়া রায় স্থগিত চেয়ে পৃথক আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান। ১০ জুলাই দুটি আবেদন একসঙ্গে শুনানি করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করা হয়।
একই সঙ্গে এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।