দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ। প্রথম দিনে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে (সিলেট বাদে) বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী, যা গত বছরের প্রথম দিনের পরীক্ষার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
এবছর বন্যার কারণে সিলেট বোর্ড ছাড়া বাকি ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছরও বন্যার কারণে চট্টগ্রাম বোর্ডে পরীক্ষা স্থগিত ছিল। গত বছরও এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রে ৫ হাজার ৫২২ জন পরীক্ষার্থী অনুস্থিত ছিল।
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথম দিনে সিলেট বোর্ড বাদে বাকি ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১ হাজার ৪৭২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা প্রথমপত্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৯ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭১৯ জন। বাকি ৯ হাজার ৯৭০ জন অনুপস্থিত। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি অনুপস্থিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডে ২ হাজার ৬০১ জন শিক্ষার্থী বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ১ হাজার ৫০৮ জন, কুমিল্লায় ১ হাজার ১৫৬ জন, যশোরে ১ হাজার ৩২৮ জন, চট্টগ্রামে ৯৭৫ জন, বরিশালে ৭২৭ জন, দিনাজপুরে ১ হাজার ১৩ জন, ময়মনসিংহে ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এদিন ৮টি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় সারাদেশে ২০ জন পরীক্ষার্থী ও একজন কক্ষ পরিদর্শককে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়।
গত বছরের চেয়ে এবার অনুপস্থিতি কিছুটা বেশি উল্লেখ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমে বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়া একটি কারণ হতে পারে। আবার এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কিছু বেশি। আমরা বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়ায় একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কোনো পরীক্ষার্থী দেরিতে কেন্দ্রে আসলে, তাকে সময় সমন্বয় করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হাতে সময় নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে আসবেন।