ঘূর্ণিঝড় রেমাল খুব দ্রুতগতিতে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। অতিপ্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র সন্ধ্যা ৬টার পর পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে মোংলার পাশ দিয়ে খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
রোববার (২৬ মে) বিকেলে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে ৩-৪ ঘণ্টা লাগতে পারে।
এ সময় উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ফেনীসহ অন্যান্য জেলায় ৪ ঘণ্টা যাবৎ তাণ্ডব চালাবে রেমাল।
এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলাগুলো ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের নৌ বন্দরকে ৪ নম্বর নৌ মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।