ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ দেশের উপকূল অতিক্রমকালে এর গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। রোববার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণলায় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে এটি মহাবিপদ সংকেতে পরিণত হয়েছে। আজ সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ দেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করবে। আর মধ্যরাত নাগাদ মূল যে ঝড় সেটি অতিক্রম করবে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের গতিবেগ ৯০-১২০ কি.মি.। তবে যখন উপকূলে আসবে তখন এটা বেড়ে ১১০-১৩০ কি.মি পর্যন্ত হবে।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ১০ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাস হবে। পাশাপাশি ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের ভেতরে নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সব মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসা সামগ্রী, শুকনো খাবার আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৮ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র আছে। সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্য বাহিনীগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।