চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ পালিত হতে পারে। এ লক্ষ্যে গত ৯ মে থেকে শুরু হয়েছে হজ ফ্লাইট। তবে এখনো ভিসা পানননি ১১ হাজার ৯৭ জন হজযাত্রী।
রোববার (১২ মে) গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।
এ পরিচালক বলেছেন, হজযাত্রীদের ভিসা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ভিসা ইস্যুর সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। ভিসা ইস্যুর মেয়াদের বিষয়ে সৌদি সরকারের অফিসিয়াল পত্র না পেলেও ভিসা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ভিসা ইস্যু করা গেছে। হজযাত্রীদের ভিসা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
এদিকে হজ অফিসের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৭২ হাজার ৫৩৫টি ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এরমধ্যেই গতকাল শনিবার (১১ মে) হজের ভিসা ইস্যুর সময় শেষ হওয়ায় মেয়াদ বাড়াতে সৌদি সরকারের কাছে আবেদন করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মুহম্মদ কামরুজ্জামান শনিবার জানান, সরকারিভাবে নিবন্ধিত কারও ভিসা হতে বাকি নেই। যাদের ভিসা হয়নি, তারা সবাই বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত। এ ক্ষেত্রে কোনো এজেন্সির গাফিলতি পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রথম দফায় গত ২৯ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত হজের ভিসা ইস্যুর সময় বাড়ায় সৌদি সরকার। সেই দফায়ও সবার ভিসা কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গত ১১ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবে এই সময়ের মধ্যেও ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় তৃতীয় দফায় সময় বাড়ানোর জন্য শনিবার সৌদি সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার (১০ মে) পর্যন্ত দু’দিনে পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন দেশের ৬ হাজার ৩৯২ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (প্রথম দিন) পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। আর শুক্রবার (দ্বিতীয় দিন) ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গেছেন। সবমিলিয়ে দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।