শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এদিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশের প্রতিবাদে শনিবার (৩০ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। তবে দাবি আদায় না হলে লাগাতার লাগাতার আন্দোলন চালিয়ের যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। আজ (রবিবার) সকালে থেকে তাদের দেখা মেলেনি ক্যাম্পাসে।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার পর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে বিশ্বিবদ্যালয়টিতে বন্ধ করা হয় ছাত্র রাজনীতি। তবে কাগজে-কলমে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি রাজনীতি। বরং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফায়দা নিচ্ছে উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। এরই মধ্যে ২৮ মার্চ মধ্যরাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগে শুক্রবার আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবিতে শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান নেন তারা।
এদিকে রোববার সকালে শহিদ মিনারে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফেরাতে ছাত্রলীগ সমাবেশ করে। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বুয়েটের রাজনৈতিক কাঠামো বুয়েট ঠিক করবে, তবে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে। কোন ক্যাম্পাসে যাওয়াটা মৌলিক অধিকার। অনুমতি নেয়ার দরকার নেই। কোথাও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নিয়ম নেই। থাকলেও তা সংবিধান বিরোধী। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। বুয়েটে ইতিয়াজ রাব্বির সিট ফিরিয়ে দিতে হবে। বুয়েটের আন্দোলন আমাদের নাড়িয়েছে, সেটাকে আমরাও ধারণ করি। তবে এটাকে পুঁজি করে হিজবুত তাহরির ও ছাত্র শিবির ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের যে নাটক করছে তার বিরুদ্ধেও আন্দোলন করতে হবে। এসব দল তাদের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সরকার অ্যাকশনে যাবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।