পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ১৭০ পরিবারে রজমানের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে সামাজিক সংগঠন ইউনিক সোশ্যাল অর্গানাইজেশন (ইউএসও)।
শনিবার (০৯ মার্চ) এক অনারম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উপজেলার ১৩নং এবং ১১ নং ইউনিয়নের ১৯টি গ্রামে সংগঠনের সদস্যরা উক্ত খাদ্য সামগ্রী অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন।
রমজানের অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের মধ্যে সয়াবিন তেল, ছোলা, ডাল, পিয়াজ, আলু, খেজুর ও মুড়ির সমন্বয়ে প্যাকেট ইউনিয়নের এসব গ্রামের অসহায় পরিবারে পৌঁছে দেন ইউএসও’র সদস্যরা।
বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা সংগঠনটির সভাপতি সুমায়েল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মনিরুজ্জামান জানান, দেশে এবং প্রবাসে অবস্থানরত সংগঠনের সদস্য এবং কিছু শুভাকাঙ্খীদের আন্তরিক সহযোগিতার ফলে সমাজের অসহায় মানুষদের জন্য এ আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এ সুন্দর আয়োজনের পেছনে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে যেনো আরো বড় পরিসরে সমাজের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পারেন তারা সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংগঠনটির সদস্যরা সমাজের অসহায় মানুষদের জন্য করা যেকোন সহায়তামূলক পদক্ষেপে কোন প্রকার আরম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন না উল্লেখ করে সংগঠনের সদস্য কায়েছ আহমেদ খাঁন বলেন, আমরা সংগঠনটির সূচনালগ্ন থেকেই যেকোন সহায়তামূলক উদ্যোগ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে আসছি। এসব কার্যক্রমে অপ্রয়োজনে কোন অর্থ ব্যয় হয়না। কোন সাহায্যপ্রার্থীকে কোথাও গিয়ে আনতে হয়না। আমরাই সবার ঘরে ঘরে পৌছে দেই। আমাদের মূল লক্ষ হলো হয়রানি ও অপচয়মুক্ত আয়োজন।
এসময় সংগঠনের সভাপতি আয়োজনের পেছনে জড়িত সংগঠনের প্রবাসী সদস্য আলী হায়দার খাঁন, মামুন তালুকদার, কামরুল হাসান, মোঃ খালেদ, মোঃ এরশাদ মিয়া, মোঃ আল আমীন, সুয়েব তালুকদার, মোতালেব আহমেদ, ফাহাদ আহমেদ, মোঃ মিজান, মোঃ জুয়েল ও রওশন আরা’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়াও সংগঠনের সবসময়ের শুভাকাঙ্খী প্রবাসী টিপু তালুকদার ও রাসেল আহমেদের প্রতিও আন্তরিক কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইউএসও পরিচিতি: ইউনিক সোশ্যাল অর্গানাইজেশন (ইউএসও) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রাগীব রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ২০১০-২০১২ সেশনের বন্ধুদের গড়া একটি সামাজিক সংগঠন। যার মূল লক্ষ্য হল- সমাজের অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া। ২০১৭ সালে ১৩নং পানিউমদা ইউনিয়নে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করা এ সংগঠনে শতকরা ৯০ ভাগ অর্থায়নের মূল উৎস মূলত সংগঠনের সদস্যরা। প্রতিটি প্রোগ্রামে খুব সীমিত সংখ্যক শুভাকাঙ্খীদের থেকে আর্থিক অনুদান গ্রহন করা হয়। এছাড়াও কোন প্রকার ছবি বা নাম প্রকাশ না করে প্রতিটি প্রোগ্রামে অনারম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সাহায্য গ্রহীতার ঘরে সাহায্য পৌঁছে দেন এর সদস্যরা। করোনাকালীন সংকটে এবং সিলেটে বন্যাকালীন সময়ে জনসচেতনা বৃদ্ধি, খাদ্যসামগ্রী বিতরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে সংগঠনের সদস্যরা।