জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জয়পুরহাটে কৃষক নুরুল হক হত্যা মামলায় ৯জনের যাবজ্জীবন ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরো ২বৎসরের কারাদন্ড প্রদানের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায়- তাদেরকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার সোটাহার ধারকি গ্রামের আঃ রউফ, পিতা-মৃত ফেরাজ উদ্দীনের ছেলে আঃ রউফ একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে, রুহুল আমিন,আব্দুর রউফের ছেলে আলী হোসেন ও খোকন হোসেন, মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন, আক্তারুজ্জামানের ছেলে রোকন হোসেন ও বাবু হোসেন , মৃত আবু সাঈদের ছেলে মিজানুর রহমান এবং মিজানুর রহমানের ছেলে সিরাজুল।
সংশ্লিষ্ট আদালত ও ওই মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৩ সালের ১নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে নুরুল হক কয়েকজন ক্ষেতমজুর (কামলা) সহ জেলার জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমি মাঠের পাকা ধান কাটতে গেলে-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেট ধরে একই উপজেলার সোটাহার ধারকি গ্রামের আঃ রউফ, রুহুল আমিন,আলী হোসেন ,খোকন হোসেন,বেলাল হোসেন, রোকন হোসেন,বাবু হোসেন ,মিজানুর রহমান ,সিরাজুল সহ কয়েকজন আসামি লাঠি সোটা, লোহার রড সাবল ও পশুর কুড়াল সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখানে (ওই মাঠে) উপস্থিত হন। এদের মধ্যে আঃ রউফ ধান কাটতে বাধা দিয়ে তাদেরকে মারপিট করে হত্যা করে ধানকাটার স্বাদ বুঝিয়ে দেয়ার হুকুম দেয়। তখন অন্যান্য আসামীরা ধান কাটতে থাকা নুরুল হক ও ক্ষেতমজুর (কামলা) মোজাহার সহ অন্যান্যদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ সময় নুরুল হক ও ক্ষেতমজুর মোজাহার গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত নুরুল হক ও মোজাহার কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। কিন্তু নূরুল হকের অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো: মাসুম বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় ১১জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ৮/১০জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন।