লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাফায়েত আহমেদ নামে এক সৌদি প্রবাসীর নির্মাণাধীন সেমিপাকা ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে ভূক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানা আক্তার সুমি এ অভিযোগ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আটিয়াতলি এলাকায় নাছির মাষ্টার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। এসময় সুমি ও তার বড় জা জেসমিন আক্তার মারধরের শিকার হন। জেসমিন সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। সুমির ভাসুর দিদার এলাহি জুয়েল লোকজন নিয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।
অভিযুক্ত জুয়েল একই এলাকার নাছির আহাম্মদ মাষ্টারের ছেলে। ভূক্তভোগী প্রবাসী সাফায়েত তার আপন ছোট ভাই।
ফারজানা আক্তার সুমির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার শ্বাশুড়ি ছেলেদের মাঝে জমি ভাগ করে দিয়েছেন। তার ভাসুরদের সবার নিজস্ব ঘর আছে। তার স্বামী সাফায়াতের কোন ঘর না থাকায় তাদেরকে ভাড়া থাকতে হতো। এতে মায়ের কাছ থেকে পাওয়া ৫ শতাংশ জমির ওপর একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এরমধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় জুয়েলরা এসে ভাঙচুর করে। ওই ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। থানায় উভপক্ষকে ডাকা হলেও জুয়েলরা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এরপরও তারা আদালতে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারায় মামলা করে। এতে নোটিশ পেয়ে কাজ বন্ধ রাখা হয়। এরমধ্যেই মঙ্গলবার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নির্মাণাধীন ঘরটি ভাঙচুর করে জুয়েলরা। এসময় সুমি ও তার বড় জা জেসমিনকে মারধর করা হয়।
ফারজানা আক্তার সুমি জানান, একাধিকবার নির্মাণাধীন ঘরটি ভাংচুর করা হয়েছে। এনিয়ে সদর থানায় জুয়েল ও তার চাচাতো ভাই ইব্রাহিম খলিল, শাহজাহান এবং খলিলের ছেলে রাসেলকে বিবাদি করে মামলা করা হয়েছে। এরা সকলে জুয়েলের সহযোগী। ঘর ভাংচুরের সাথে এরা সকলে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রধান অভিযুক্ত জুয়েলের মোবাইলফোনে কল করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
থানায় সুমির করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান বলেন, পরবর্তী হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।